করোনার কারণে এ বছর কেন্দ্রীয়ভাবে পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা (পিইসি) অনুষ্ঠিত হবে না। এর পরিবর্তে নিজ নিজ স্কুলে মূল্যায়নের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, ‘‘করোনা সংক্রমণের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা এবং ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণ না করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মতি দিয়েছেন। অতএব আমরা পিইসি পরীক্ষা নিচ্ছি না।’’ কিন্তু সমাপনী পরীক্ষা না হলেও বার্ষিক পরীক্ষা হবে জানান তিনি।
গত ১৯ আগস্ট কেন্দ্রীয়ভাবে পিইসি ও ইবতেদায়ী পরীক্ষা না নেয়ার প্রস্তাব করেছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। সেই প্রস্তাবে পিইসি পরীক্ষা নিজ নিজ বিদ্যালয়ে নেয়ার প্রস্তাবনাও দেয়া হয়। সেই প্রস্তাবনাতেই আজ অনুমোদন দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পিইসি নেয়া সম্ভব হবে না বলে এ সম্পর্কিত মেধাবৃত্তিও চলতি বছর দেয়া হবে না। তবে উপবৃত্তি চালু থাকবে আগের মতোই।
স্কুল খোলার বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, এর আগে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসকে সামনে রেখে তিনটি আলাদা পাঠ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনও যেহেতু স্কুল খোলার পরিবেশ তৈরি হয়নি তাই সেপ্টেম্বরে স্কুল খোলার সম্ভাবনা খুবই কম বলে জানান তিনি। তবে এ সম্পর্কিত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবারের মধ্যে আসবে বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বৈঠকে বসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সেক্ষেত্রে স্কুল খুললে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বিদ্যালয় প্রশ্ন তৈরি করে পরীক্ষা নেবে।