করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত উ পঞ্ঞা জোত মহাথেরো (উ চ হ্লা ভান্তে)’র মরদেহ বান্দরবানে আনা হবে না বলে নিশ্চিত করেছে প্রশাসন। আজ ১৯ এপ্রিল রোববার বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের এক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বান্দরবান সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহীদুল ইসলাম জানান, সকালে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহোদয়ের সভাপতিত্বে ভান্তের মরদেহ বান্দরবান আনার বিষয়ে একটি সভা হয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ শামীম হোসেন, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রেজা সরওয়ার, ভান্তের পরিবারের সদস্যবর্গ, কয়েকজন বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বান্দরবানে জনসমাগম এড়াতে ভান্তের মরদেহ রাউজানের খৈয়াখালী বৌদ্ধ বিহারেই রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকটি সূত্র জানায়, সভায় মূলতঃ ভান্তের মরদেহ ২০ এপ্রিল সোমবার কোন পদ্ধতিতে বান্দরবান আনা যেতে পারে সেটা নিয়ে আলোচনা চলছিলো। এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের টেলিফোনিক নির্দেশে সেই আলোচনা মুলতবি হয়ে যায়। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তাঁর মরদেহ রাউজানেই রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে সভা শেষ করা হয়।
প্রসঙ্গত, ১০ এপ্রিল শারিরীক অসুস্থতা নিয়ে উ পঞ্ঞা জোত মহাথেরোকে বান্দরবান থেকে চট্টগ্রামের ম্যাক্স হসপিটালে ভর্তি করা হয়। সেদিন বিকেলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে নানা অসমর্থিত সূত্র দাবি করে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন এবং ১৩ এপ্রিল তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে। এরপর তাঁর মরদেহ বান্দরবান না এনে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার খৈয়াখালি বৌদ্ধ বিহারে নিয়ে যাওয়া হয়।