সাঁকো
বানের জলে ভেসে গিয়েছে
তোমার নামের সাঁকো
পার করে দিয়েছি
অভিমানের চিঠি
লিখেছো ‘ভালো থেকো।’
দ্বিপ্রহরের পোস্ট অফিসে
ভ্যান গ্যঁগের গম খেতে
উড়ে যাচ্ছে কাক
পরিযায়ী পাখির ডানায়
ডাকপিয়নের সাইকেল
অলস পড়ে থাক।
আকাশজলে
মেঘের গায়ে বহুজাতিক কোম্পানির 
 পণ্যচিহ্ন
 আমি গাঁয়ে কৃষক
 আকাশজলে স্নানের অপেক্ষায় আছি
 বন্ধ্যা বসন্ত হতে
 যেন অচেনা স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছি
 চেনা মালাপুকুর পাড়ে
 যেখানে শোল মাছেরা সুপার শপে
  যাওয়ার টিকেট হাতে
 এতোকিছুর পরেও 
 একটি কৃষ্ণচুড়া গাছ লিপস্টিক মেখে
 গলির মুখে দাড়িঁয়ে আছে ।
ঢেউ
কৈশোরে বেড়ে উঠা পদ্মফুলগুলো
আপাতত ¯œানঘরে বন্দি।
হারিয়ে যাওয়া চাবি,
চারপাশে কতো খুঁজেছি!
বারবার ফিরে এসেছে
নদীর পাড় ভাঙ্গার ঢেউ। 
না বলা কথা গুলো আটকে
 আছে সময়ের চৌষট্টি পাঁপড়িতে,
 প্রতিদিন সত্যমিথ্যা কতো কথার
 আড়ালে একটি কথা
 বলাই হয় না
 “তোমাকেই ভালোবাসি”।
জুমের ফসল
পাহাড়ের সিঁড়ি দিয়ে নেমে যাচ্ছে
আর্দ্র নদী 
যেন কিশোরীর নতুন শাড়ি
শেষ বিকেলে ঘুমিয়ে আছে জুমের ফসল
আর সে ডানা মেলে দিয়েছে অপরাজিতার 
বাগানে।
 
             
		