চলতি মার্চের শুরু থেকে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ফের বেড়েছে। তবে এ অবস্থায় নতুন করে লকডাউন দেওয়ার চিন্তা নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, ‘কঠোর লকডাউনের বিষয়ে আমাদের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয় নাই। তবে আগের যে স্বাস্থ্যবিধি ছিল, সেগুলো বেশি বেশি করে মানা ও প্রচার করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে- রেস্তোরাঁ, পরিবহনে ভিড় এড়ানো, সবাইকে মাস্ক পরানো। এছাড়া পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় যেন লোকজন ভিড় না করে।’
করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে গত বছরের মার্চের শেষ থেকে দেশে চলে টানা ৬৬ দিনের লকডাউন। অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কল-কারাখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয় বন্ধ রাখা হয়। যানবাহন চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গে সবাইকে যার যার বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত বছরের ৩১ মে অফিস-আদালত খোলার পাশাপাশি গণপরিবহন চলাচালের অনুমতি দেয় সরকার। এরপর গত ডিসেম্বরের পর দেশে করোনার সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমতে থাকে। কিন্তু চলতি মার্চের শুরু থেকে আবার তা বাড়ছে।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সঙ্গে এক বৈঠকে যোগ দেন পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। সেখান থেকে ফিরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করণীয় বিষয়ে বৈঠকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার ওপর। এজন্য প্রয়োজনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাহায্য নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
গত বছরের জুলাইয়ে বাসার বাইরে সব জায়গায় সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে সরকার। এটি বাস্তবায়নে বেশ কিছুদিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অনেকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।