Khola Chokh | Bangla News, Entertainment & Education

আপনার কি অতিরিক্ত ঘাম হয়? তাহলে জেনে নিন এর কারণগুলো

ঘাম শরীরের অত্যাবশ্যকীয় একটি প্রক্রিয়া। শরীরের ভেতরে যে তাপমাত্রা আছে, তা যাতে সহজে বের হয়ে যায়, সে জন্য ঘাম হয়। ঘাম না হওয়া কখনও কখনও বড় ধরনের অসুস্থতার লক্ষণ। আবার অতিরিক্ত ঘামও সমস্যা তৈরি করে।

ঘামের রোগ যাদের আছে, তাদের দু’ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথমত, কোনো নির্দিষ্ট জায়গায় অতিরিক্ত ঘাম। যেমন– হাত-পা ঘামা বা মাথার পেছনটা ঘেমে যাচ্ছে বা মুখটা ভিজে যাচ্ছে, এটা হচ্ছে লোকালাইজড হাইপার হাইড্রোসিস। হাইপার হাইড্রোসিস মানে হচ্ছে অতিরিক্ত ঘাম। অন্যটি জেনারালাইজড হাইপার হাইড্রোসিস। এটা নির্দিষ্ট কোনো জায়গায় নয়, সারা শরীর ভিজে জবজব করবে।

ঘাম সাধারণত ভেতরের রোগের কারণও হয়। যাদের থাইরয়েড রোগ আছে, তারা অতিরিক্ত ঘামেন। কিছু কিছু ওষুধ খাওয়ার কারণেও ঘাম হয়। অন্যান্য অনেক রোগ আছে, যেগুলোর জন্য অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে। যেমন– ক্যান্সারের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে।

অতিরিক্ত ঘামের কারণে ছত্রাকজনিত রোগগুলো হয়ে থাকে। শরীরে যে সাদা সাদা ছুলি হয়, তাও অতিরিক্ত ঘামের কারণেই হয়। অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীরে অনেক সময় ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালান্স হয়ে যায়। এতে শরীরে লবণের পরিমাণ কমে যায়। এটির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আসতে থাকে।

হাত বা পা ঘামছে প্রাথমিকভাবে নজরে এলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড নামে এক ধরনের উপাদান আছে, সেটি দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য হাত-পায়ের ঘাম বন্ধ করা সম্ভব। কোনো কোনো সময় ইনজেকশন দিয়েও হাত-পা ঘামা বন্ধ করা যেতে পারে। এ পদ্ধতিতে কয়েক মাসের মধ্যে অতিরিক্ত ঘাম নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিছু সার্জারি আছে, করলে স্থায়ীভাবে লোকালাইজড ধরনের ঘাম বন্ধ করা সম্ভব।

তাই শুরুতেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন, চিকিৎসা নিন, ভালো থাকুন।

শেয়ার করুন
Exit mobile version