বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় দশ হাজার লোক আত্মহত্যায় মৃত্যুবরণ করে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও আত্মহত্যা বা আত্মহত্যা প্রবণতা একটি অন্যতম সমস্যা। আত্মহত্যা প্রতিরোধে সংবাদপত্র, টিভি চ্যানেল তথা মিডিয়াকর্মীদের ভূমিকা সবচেয়ে অগ্রগণ্য। এ বিষয়ে গঠনমূলক ও দায়িত্বশীল সংবাদ/রিপোর্ট পরিবেশনে মিডিয়াকর্মীদের অধিকতর সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে এই সচেতনতামূলক বার্তা প্রচার করা হয়েছে।
সংবাদ পরিবেশনকালে যা করতে হবে:
- আত্মহত্যার ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিরা কোথায় ও কিভাবে সাহায্য পেতে পারেন সে বিষয়ে সঠিক তথ্য প্রদান করুন।
- আত্মহত্যা এবং আত্মহত্যা প্রতিরোধ সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিয়ে জনগণকে সচেতন করুন।
- কিভাবে মানসিক চাপ বা আত্মঘাতী চিন্তা মোকাবেলা করা যায় এবং কিভাবে সাহায্য পাওয়া যায় সে সম্পর্কে সহায়ক প্রতিবেদন প্রকাশ করুন।
- সেলিব্রেটি/বিখ্যাত ব্যক্তিদের আত্মহত্যার সংবাদ পরিবেশনে সতর্কতা অবলম্বন করুন।
- শোকগ্রস্থ পরিবার বা বন্ধুদের সাক্ষাৎকার গ্রহণের সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন; যেন আপনার কোন প্রশ্নে তাঁর মনে আঘাত না পান।
- আত্মহত্যার সংবাদ সংগ্রহ ও পরিবেশনকারী সংবাদকর্মী নিজেও আত্মহত্যার ঘটনা দ্বারা প্রভাবিত হতে পারেন। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে তারা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন।
সংবাদ পরিবেশনকালে যা করা উচিত নয়
- আত্মহত্যার সংবাদটি খুব গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রকাশ করবেন না এবং অযথা সংবাদটি পূণরাবৃত্তি করবেন না।
- এমন কোন ভাষা ব্যবহার করবেন না যেন মনে হয় আত্মহত্যা একটি স্বাভাবিক ঘটনা, অথবা আত্মহত্যা কোন সমস্যার সমাধান।
- বিস্তারিত ভাবে আত্মহত্যার পদ্ধতির বিবরণ প্রদান করবেন না।
- আত্মহত্যার স্থান নিয়ে বিশদ বিবরণ প্রদান করবেন না।
- উদ্দীপনার খোরাক দেয় এমন শিরোনাম ব্যবহার করবেন না।
- ছবি, ভিডিও ফুটেজ বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোন লিংক প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকুন।