বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার বিশাল ঘাটতির ঋণনির্ভর বাজেট পেশ করেছে। প্রস্তাবিত বাজেট জনকল্যাণমূলক না হওয়ায় জনগণ হতাশ হয়েছে।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, বাজেটে কর হিসেবে দুই লাখ ৯৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা আদায় করা হবে, যা জনগণের রক্ত চুষে আদায় করতে হবে। তাই এক কথায় বলা যায় প্রস্তাবিত বাজেট জনগণের রক্ত চোষার লুটের বাজেট। বিএনপি এই বাজেট সম্পূর্ণরুপে প্রত্যাখান করছে।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট গরীবকে আরও গরীব করবে। বাজেটে ধনীদেরকে আরও ধনী করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এমনিতে দারিদ্র্য কমার হার কমে যাচ্ছে, এ বাজেটে দারিদ্র্য কমার হার আরও কমে যাবে। কারণ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না, অর্থনীতির নতুন খাত তৈরি হচ্ছে না। প্রচলিত রপ্তানিযোগ্য খাতগুলোর বহুমুখীকরণে কোনো নীতিমালা নেই এই সরকারের বাজেটগুলোতে।
বাজেটে ব্যাংক লুটপাটকারীদের আরও সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে— এমন অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ব্যাংকের করপোরেট কর কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোরও কর কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ব্যাংক মালিকরা যা চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী তাই করেছেন। ব্যাংক মালিকদের আরও বেশি লুটপাটের সুযোগ করে দেওয়ার বাজেট এটি।
তিনি বলেন, সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলেছে, কিন্তু বাজেটে ইন্টারনেট, ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল ব্যবহারের ওপর কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই বাজেট নির্বাচনের আগে দলীয় নেতাকর্মীদের পকেট ভারী করার সুযোগ সৃষ্টি, জনগণের সঙ্গে ধাপ্পাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়।
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, সিইসি সরকারের সঙ্গে এক অলিখিত বশ্যতায় আবদ্ধ। আগামী নির্বাচনের ফল ক্ষমতাসীনদের পক্ষে নিতে নানা কারসাজি ও নতুন নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে সিইসি। ইভিএম নিয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো এবং নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ বিপক্ষে মত দিয়েছে। আর সিইসি মত দিলেন ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে। ইসি ভোট কারচুপি ও জালিয়াতি করতেই ইভিএম পদ্ধতি চালু করার কথা বলছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।