দক্ষিণ এশিয়ার খুবই জনপ্রিয় একটি খাবারের নাম পান। নানী-দাদীদের অনেকেই অভ্যাস থাকে পেপারাসিয়া পরিবারের অন্তর্ভুক্ত পান পাতা খাওয়ার। তাই বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্যিক ভাবে এর চাষও করা হয়। কিন্তু শুধু মশলা, সুপারি, জর্দা ব্যবহারে খাওয়ার মধ্যেই পান পাতার উপকারিতা শেষ নয়। পানের রয়েছে কিছু বিস্ময়কর উপকারিতা। আসুন জেনে নেই স্বাস্থ্য সমস্যায় পান পাতার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার সম্পর্কে।
১। ওজন হ্রাস করতে
পানের রস হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং অতিরিক্ত পানি, বিষাক্ত পর্দাথ শরীর থেকে বের করে দেয়। শুধু তাই নয় এটি মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে থাকে। এর ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে থাকে। আর এই সবকিছু ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে।
২। হজম সমস্যা দূর
পান পাতায় রয়েছে গ্যাস্ট্রো প্রটেকটিভ , অ্যান্টি-ফ্লটুলেন্ট এবং কার্মিনেটিভ এজেন্ট যার কারণে পান চাবানোর সময় মুখে স্যালাইভা তৈরি করে। যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে।
৩। জয়েন্টে ব্যথা
পলিফেনাল নামে এক ধরনের অ্যান্টি-ইনফ্লামমেটরি উপাদান রয়েছে পান পাতায়, যা প্রদাহ বা যন্ত্রণা কমাতে দারুন কাজে করে। এইজন্য অনেককে জয়েন্টের ব্যথার জন্য পানের রস সরবারহ করে।
৪। গলা ব্যথা রোধে
পান পাতার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্লামমেটরি উপাদান ঠাণ্ডা এবং ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। পান পাতা এবং মধু মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন এটি গলার ইনফেকশন রোধ করবে।
৫। ক্ষত সারাতে
পান পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এর অক্সিডেটিভ উপাদান ক্ষত দ্রুত সারিয়ে তোলে। ক্ষত স্থানে কিছু পরিমাণ পান পাতার রস লাগিয়ে নিন। এরপর ব্যান্ডেজ করে বেঁধে রাখুন। এভাবে ২-৩দিন থাকুন। দেখবেন ক্ষত সেরে গেছে।
৬। মুখের দুর্গন্ধ দূর
মুখের ভিতরের ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে পান পাতার বিকল্প নেই। পান পাতা চেবানোর সময় মুখে ভিতর স্যালাইভা উৎপাদন করে যা ওরাল ব্যাক্টেরিয়া রোধ করে এবং পিএইচ লেভেলের ভারসাম্য বজায় রাখে।