নিজের বেতনভাতা ৬০ শতাংশ কমানোর কথা জানিয়েছেন মেক্সিকোর নবনির্বাচিত বামপন্থী প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদর। আগামী ডিসেম্বরে তিনি ছয় বছরের জন্য লাতিন আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবেন। ক্ষমতা গ্রহণের পর বেতনভাতা বাবদ ৪০ শতাংশ পরিমাণ অর্থ নেবেন বলে জানান তিনি।
গতকাল রোববার দেশটির রাজধানী মেক্সিকো সিটিতে তাঁর নির্বাচনী ক্যাম্পের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদর এসব কথা বলেন। সমর্থকেরা এ সময় তাঁর এ ঘোষণাকে মুহুর্মুহু হাততালি দিয়ে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই বাজেটের সবকিছু সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাক।’
দ্য লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের খবরে বলা হয়, আগামী ডিসেম্বর মাসে বর্তমান প্রেসিডেন্ট এনরিক পি এ নেতোর কাছ থেকে ক্ষমতা গ্রহণ করবেন বামপন্থী প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদর। এরপরই বেতনভাতার ৪০ শতাংশ অর্থ নেবেন বলে জানান তিনি। বর্তমানে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টের মাসিক বেতন-ভাতা ২ লাখ ৭০ হাজার পেসো।
সাংবাদিকদের আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদর বলেন, তিনি মাসে ১ লাখ ৮ হাজার পেসো (৫ হাজার ৭০৭ মার্কিন ডলার) বেতন হিসেবে নেবেন। তিনি বলেন, তাঁর ছয় বছরের মেয়াদে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন যেন প্রেসিডেন্টের বেতনের চেয়ে বেশি হবে না। উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সুবিধা যেমন, গাড়ির চালক, দেহরক্ষী ও ব্যক্তিগত চিকিৎসাবিমা-সংক্রান্ত খরচগুলো কমানোর পরিকল্পনাও তাঁর রয়েছে বলে জানান তিনি।
বর্তমানে মেক্সিকো ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালে দুর্নীতির সূচকে ১৮০ দেশের মধ্য ১৩৫তম।
আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদর বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের তাঁদের সম্পদের হিসাব প্রকাশ করতে হবে। দুর্নীতি এ দেশে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। মন্ত্রিসভার ব্যয় আরও কমানোর ইচ্ছা তাঁর আছে। মন্ত্রিসভার অপর সদস্য যাঁরা বেসরকারি খাতের চাকরি ছেড়ে এসেছেন, তাঁদের অসুবিধার কথা চিন্তা করে আপাতত সেই পরিকল্পনা বাদ দিচ্ছেন তিনি।