দুদকের হস্তক্ষেপে দখলমুক্ত দুই বিদ্যালয়

সড়ক নির্মাণের সামগ্রী দিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠ দখল এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে দুটি বিদ্যালয় দখলমুক্ত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার নাটোরের বাগাতিপাড়া ও নীলফামারীর ডিমলায় দুটি স্কুলে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সূত্র জানায়, দুদকের হটলাইনে (১০৬) অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিকভাবে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন দুদক মহাপরিচালক মুনীর চৌধুরী।

অভিযোগে জানা যায়, নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার স্বরূপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সড়ক নির্মাণের বিপুল পরিমাণ সামগ্রী রেখে নির্মাণকাজ করছিলেন ঠিকাদার। মাঠেই বিটুমিন গলানোর কাজ ও পাথর-বালি মেশানোর মেশিন চালানোর কারণে ধুলাবালি, কালো ধোঁয়া, শব্দ ও বিটুমিনের তীব্র গন্ধে শিক্ষার্থীদের পাঠদান মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয় এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে দুদকের কাছে অভিযোগ করেন একাধিক ভুক্তভোগী। বিষয়টি দুদকের তফসিলভুক্ত না হলেও সংস্থাটির পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানানো হয়।

দুদকের নির্দেশনা মোতাবেক এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে স্কুল চত্বর থেকে নির্মাণসামগ্রী দ্রুত সরানোর নির্দেশনা দেন ইউএনও। পরে এসব নির্মাণসামগ্রী সরানোর পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং গভর্নিং বডির সভাপতিকে ইউএনও কার্যালয়ে ডেকে আনা হয়। তাঁরা এর দায়দায়িত্ব স্বীকার করায় মুচলেকা নেওয়া হয়। মুচলেকায় তাঁরা বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের অন্যায় কাজ থেকে তাঁরা বিরত থাকবেন।
একইভাবে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার দোলাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়। দুদকের নির্দেশে নির্মাণসামগ্রী অপসারণ করে বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হয়েছে। স্থানীয় ইউএনও এ কাজে সহায়তা দেন।
এ প্রসঙ্গে দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী জানান, ‘এভাবে স্কুল দখল করে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করা একধরনের দুর্নীতি। জনগণের দাবি ও অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় দুদক সেখানে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে।’

সৌজন্যে ঃ দৈনিক প্রথম আলো অনলাইন

শেয়ার করুন