রফিকুল আলম মামুন ।। বৃহস্পতিবার থেকে টানা দুইদিনের বৃষ্টি আর ঝড়ো হাওয়ার প্রভাব কমলেই বাজতে পারে শীতের আগমনী ঘন্টা। হ্যাঁ মানুষ যা ভেবেছিল তাই হলো। গত দুইদিন বৃষ্টিতে কাবু মানুষ এমন প্রত্যাশাই করেছিলেন।
আর এ ধারণাকে সত্যি করে র্পাবত্য জেলা বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ির গ্রাম থেকে শহুরে জীবনে সবখানেই দেখা গেছে শীতের আমেজ। কোথাও ঘন আবার কোথাও হালকা কুয়াশা ভেদ করে র্সূয উঠতে গড়িয়ে যায় সকাল। তাছাড়া সোমবার মধ্যরাত থেকে সকাল পযর্ন্ত কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল গ্রাম থেকে শহরে।
বাংলা মাসের হিসেবে হেমন্তের পর অগ্রহায়ণের শেষের দিকেই শীত অনুভূত হবার কথা। কিন্তু প্রকৃতির খেয়ালে কিছুটা আগেই শীতের পরশ পেতে শুরু করেছে মানুষ।
আবহাওয়া অফিসের সাথে সংশ্লিষ্টরা প্রকৃতির এমন আচরণের ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলতে না পারলেও ধারণা করছেন-উত্তরের হাওয়া নয় বৃষ্টিতেই এসেছে শীতের আমেজ।
তাঁরা জানান- উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল থেকে মৌসুমি বায়ু বিদায় নিয়েছে।দু-একদিনের মধ্যে মধ্যাঞ্চল থেকে বিদায় নিবে মৌসুমি বায়ু।মৌসুমি বায়ুর প্রভাব পুরোপুরি কেটে গেলে দিনে গরম আর রাতে শীত অনুভূত হতে পারে।পুরো অক্টোবর মাস কেটে যাবে মোটামুটি এভাবেই। তবে নভেম্বর মাসের শেষের দিক থেকে শীত তীব্র আকারে অনুভূত হবে এটা নিশ্চিত।
আজকে চট্টগ্রাম অঞ্চলের আবহাওয়ার র্পূবাভাস- আজ সারাদিন আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে প্রধাণত শুস্ক থাকতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিরর্তিত থাকবে। বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘন্টায় ১২ থেকে ২০ কিলোমিটার।তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রির ওপরে ওঠার সম্ভাবনাও কম।