বিজেপি ভারতকে বিভাজিত করার যত চেষ্টাই করুক, কংগ্রেস কখনও হিংসার রাজনীতি করেনি। বিজেপির এই চেষ্টা ব্যর্থ করবে কংগ্রেস। তাছাড়া, ২০১৯ সালে কংগ্রেস ক্ষমতায় গেলে সেনাবাহিনীর সুযোগ-সুবিধা আরো বাড়ানোরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
রাজধানী দিল্লিতে দলের সদর দফতরে গত শনিবার রাহুল সাবেক সেনাকর্মীদের সঙ্গে আধা ঘণ্টা বৈঠক করেন। পরে সংবাদ সম্মেলনে কংগ্রেস সভাপতি এ প্রতিশ্রুতি দেন।
রাহুল বলেন, মোদি সরকার ওআরওপি নিয়ে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। রাহুল ক্ষমতায় গেলে সেনাবাহিনীর জন্য এক র্যাংক এক পেনশন (ওআরওপি) নীতি পূরণের ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে, ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ‘সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন’ (সিবিআই)-এর ডিরেক্টর অলোক ভার্মাকে পদে ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়ে গ্রেফতার হল কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। এই দাবি নিয়েই গত শুক্রবার দুপুরের দিকে দিল্লিতে সিবিআই’এর সদর কার্যালয়ের সামনে তার নেতৃত্বে কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা এবং কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখায়। এরপরই রাহুলকে প্রতীকী গ্রেফতার করা হয় এবং তাকে দিল্লির লোধি কলোনি থানায় নিয়ে আসা হয়।
এসপিজি নিরাপত্তা থাকার কারণে রাহুলের জন্য ওই থানায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। পরে অবশ্য তাকে ছেড়েও দেওয়া হয়। রাহুলের সাথেই আটক করা হয় কংগ্রেসের কয়েকজন নেতাকে।
লোধি কলোনি থানা থেকে ছাড়া পেয়ে সংবাদমাধ্যমকে রাহুল জানান, প্রধানমন্ত্রী দৌড়াতে বা লুকোতে পারেন, তবে শেষ পর্যন্ত সত্য সামনে আসবেই। সিবিআই ডিরেক্টরকে অপসারণ করে কোন লাভ হবে না। প্রধানমন্ত্রী সিবিআই ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছেন, এর ফলে একটা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
এর আগে বিক্ষোভ চলাকালীন রাহুল জানান, মধ্যরাতে সিবিআই মহাপরিচালককে এভাবে সরিয়ে দেওয়া অসাংবিধানিক পদক্ষেপ। প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করছেন-সেটা সিবিআই হোক বা নির্বাচন কমিশন। এর পিছনে একটাই কারণ রয়েছে-তা হল চৌকিদার আসলে চোর। তিনি ৩০ হাজার কোটি রুপি অনিল আম্বানির পকেটে ঢুকিয়ে দিয়েছেন।