আপনি হয়তো একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন, আপনারা দু’জন একসঙ্গে বসে আছেন। অথচ আপনার পাশের লোককেই বেশি মশা কামড়াচ্ছে! দু’জনই ব্যাপারটা খেয়াল করছেন। কিন্তু এর কারণ বুঝতে পারেন না?
তাহলে জেনে রাখুন, মশারা কিন্তু ‘ও’ পজিটিভ গ্রুপের রক্ত খেতে বেশি পছন্দ করে! তাই যদি আপনার ‘ও’ পজিটিভ গ্রুপের রক্ত হয়, মশা তো আপনাকে কিছুতেই ছাড়বে না। আপনি মশার কাছে প্রায় অমৃত সমান। তাছাড়া আরও কিছু অদ্ভূত কিন্তু বিজ্ঞানসম্মত কারণে মশা আমাদের কামড়িয়ে থাকে। মশা কেন বেছে বেছে কিছু মানুষদেরই বেশি কামড়ায়? মশা আকৃষ্ট হয়, এমন কয়েকটি কারণ খুঁজে বের করেছেন গবেষকেরা। যেমন-
গবেষকরা বলেছেন, লম্বা, বেঁটে না মোটা তার থেকেও মশা বেশি নজর দেয় গন্ধে! মশার রয়েছে দারুণ গন্ধ বিচার ক্ষমতা। যাদের শরীরে কায়রামোনস রাসায়নিক বেশি থাকে তাদের রক্তই মশার দারুণ পছন্দ। অন্যদিকে অ্যালামোনস রাসায়নিক শরীরে বেশি থাকলে মশা ফিরেও তাকায় না।
শুনতে অদ্ভূত মনে হলেও ব্যায়াম করার পর পর মশা মানুষকে কামড়িয়ে থাকে। কেন? কারণ হল ব্যায়াম করলে মানুষ বেশি বেশি নিশ্বাস নেয়। আর এই নিশ্বাসের সাথে বের হয়ে আসে কার্বন ডাই অক্সাইড। কার্বন ডাই অক্সাইডে মশা আকর্ষিত হয়। আপনাকে যে মশাটি কামড় দিচ্ছে সেটি একটি নারী মশা কারণ পুরুষ মশারা মানুষের রক্ত খায় না। পুরুষ মশার পেট ভরে গাছগাছালির রস খেয়ে। আর নারী মশারা একবার রক্ত দিয়ে ডিনার করে যেখানে সেখানে একশ থেকে চারশ’র মত মশার ডিম পাড়ার ক্ষমতা অর্জন করে।
আবার বিয়ার পান করলে মশা সেটা টের পেয়ে আপনার রক্ত খেতে চায়। মশা ঘন ঝোপঝাড়ের আশেপাশে থাকতে পছন্দ করে। সেই সাথে অন্ধকার ও ভ্যাপসা জায়গা তাদের কাছে সবচেয়ে আরামের জায়গা। আর জমে থাকা পানি তো তাদের জন্মস্থানই। গর্ভবতী নারীদের তুলনামূলকভাবে বেশি কামড়িয়ে থাকে মশা। জিন দেখেও নাকি মশা নিজের খাদ্য তালিকা পছন্দ করে। আইডেন্টিকাল টুইনসদের উপর পরীক্ষা করে দেখা গেছে, হয় দুজনকেই মশা পছন্দ করে। অথবা দু’জনকেই অপছন্দ করে মশা।
আর দশজনের মধ্যে এই বিশেষ একজনকে খুঁজে পেতে মশাদের খুব বেগ পেতে হয় না