Khola Chokh | Bangla News, Entertainment & Education

কম খরচে বেড়াতে চাইলে যেতে পারেন বান্দরবানের মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্সে

বান্দরবানের মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রে নবনির্মিত ‘দখিনা চত্বর’।

বান্দরবান শহর বা এর আশপাশের এলাকা থেকে এসে খুব সহজেই বেড়ানোর জন্যে মেঘলা আপনার পছন্দতালিকার শীর্ষে থাকতে পারে। এর অবস্থানগত সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো বাসে চড়ে এসে একেবারে মেঘলার গেইটেই নামা যায়। মেঘলা থেকে বান্দরবান শহর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ জেলার ভেতরের অন্য যে কোনো পর্যটন স্পটে যাতায়াত খুবই সহজ।

মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রের প্রবেশদ্বার।

বান্দরবানের প্রবেশ পথেই জেলা পরিষদ অফিস সংলগ্ন এলাকায় মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স। ছায়া সুনিবিড়, বৈচিত্র্যে ভরা মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্সে পেতে পারেন অনাবিল আনন্দের সন্ধান। জেলা প্রশাসনের পরিচালনায় বান্দরবান শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরের এই পর্যটন কেন্দ্রে রয়েছে স্বচ্ছ পানির নয়নাভিরাম হ্রদ, হ্রদের ওপর দু’টি ঝুলন্ত সেতু, উন্মুক্ত মঞ্চ, একাধিক পিকনিক স্পট, অরুন সারকী মিউজিয়াম, ক্যান্টিন, মিনি চিড়িয়াখানা, হ্রদের পানিতে প্যাডেল বোটে চড়ার ব্যবস্থা, বিশ্রামাগার, শিশুপার্ক, দখিনা চত্বর ইত্যাদি।

মেঘলায় জনপ্রতি প্রবেশ ফি ৫০ টাকা। এছাড়া কেবল কারে চড়ার ফি ৪০ টাকা, লেকে প্যাডেল বোট ভ্রমণ নৌকাপ্রতি ২০ মিনিটের জন্যে ১০০ টাকা।

মেঘলায় লেকের ওপর ঝুলন্ত সেতু

বান্দরবান-চট্টগ্রাম প্রধান সড়কের পাশ ঘেঁষে গড়ে ওঠা পর্যটন কমপ্লেক্সটি ইতোমধ্যে দেশজুড়ে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে।

শিশুদের খেলাধুলার জন্যে এখানে আছে নানা আয়োজন। চিড়িয়াখানায় বানর, হরিণ, সাপ, ভালুক ও বিভিন্ন ধরণের পাখিও শিশুদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ।

মেঘলা লেকের দু’পাড়ের পাহাড়কে সংযুক্ত করেছে দু’টি আলাদা ঝুলন্ত সেতু। সেতু পার হয়ে যে কেউ হারিয়ে যেতে পারেন সবুজ গাছ গাছালির ভিড়ে।

কীভাবে যাবেন:
কক্সবাজার বা চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবান আসার পথে শহরে ঢোকার ৫ কিলোমিটার আগে মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স। শহর থেকে সিএনজি, যে কোনো হালকা যানবাহন অথবা বাসযোগে সহজেই মেঘলা যাওয়া যায়। মাহিন্দ্র থ্রি-হুইলারের ভাড়া শুধু যাওয়ার জন্যে ১শ’ টাকা। জীপ, মাইক্রোবাসের ভাড়া ৮শ’ থেকে ১ হাজার টাকার মধ্যে।

খাবার ব্যবস্থা:
মেঘলার গেইটের ঠিক উল্টো পাশেই রয়েছে হলিডে ইন রিসোর্ট। সেখানে রয়েছে একটি উন্নতমানের রেস্টুরেন্ট। তবে খাবার অর্ডার দিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হতে পারে। এছাড়া মেঘলায় লেকের পাড়ে কুলিং কর্নার আছে। সেখানে হালকা খাবার পাওয়া যায়। মেঘলার মূল গেইটের পাশে একটি সাধারণ মানের রেস্টুরেন্ট আছে। সেখানেও খাবারদাবার পাওয়া যায়।

এছাড়া মেঘলার গেইটের পাশে পেট্রোল পাম্প ও পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে মেঘলা ক্যাফে। সেখানেও প্রয়োজন অনুযায়ী মানসম্মত যে কোনো খাবার অর্ডার করা যায়।

শেয়ার করুন
Exit mobile version