কঙ্গনার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা

এবার বলিউড তারকার কঙ্গনা রনৌতের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার মুম্বাইয়ে অন্ধেরির আদালতে কঙ্গনার এই বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছেন বলিউড তারকা আদিত্য পাঞ্চোলি ও তাঁর স্ত্রী জরিনা ওয়াহাব।

এর আগে ২৫ সেপ্টেম্বর কঙ্গনাকে আইনি নোটিশ পাঠান আদিত্য পাঞ্চোলি ও জরিনা ওয়াহাব। জানা গেছে, মুম্বাইয়ে কঙ্গনার বাসায় এই আইনি নোটিশ পৌঁছানো হয়। আইনি নোটিশের ভাষ্য অনুযায়ী কঙ্গনাকে তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। নিজের ভুল স্বীকার করতে হবে। আর এর জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। তা না হলে কঙ্গনার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানানো হয়। একই সঙ্গে কঙ্গনার বিরুদ্ধে আর কী কী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা খতিয়ে দেখার জন্য তখন দুজন আইনজীবী নিয়োগ করেন আদিত্য পাঞ্চোলি ও জরিনা ওয়াহাব। জানা গেছে, এই আইনি নোটিশের ব্যাপারে কঙ্গনা কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নেননি।

মাত্র ১৭ বছর বয়সেই যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন কঙ্গনা রনৌত। আর ওই সময় তাঁর বাবার বয়সী আরেক বলিউড তারকা আদিত্য পাঞ্চোলি নাকি নিয়মিত এই নির্যাতন করতেন। আদিত্যর যৌন নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে তাঁর স্ত্রী চিত্রতারকা জরিনা ওয়াহাবের কাছে সাহায্য চাইতে গিয়েছিলেন কঙ্গনা। কিন্তু সেখানে কোনো সাহায্য তিনি পাননি। ৩ সেপ্টেম্বর সংবাদমাধ্যমে এই অভিযোগ করেন কঙ্গনা রনৌত। এরপর তা নিয়ে অনেক জল ঘোলা হয়েছে।

এর আগে অভিযোগ করে কঙ্গনা বলেন, ‘আমি তখন তাঁর (আদিত্য) মেয়ের চেয়ে বয়সে ছোট। কিশোরী বয়স। মিডিয়ায়ও নতুন। এখানকার সবকিছু আমার কাছে নতুন মনে হচ্ছিল। এ কারণে নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে সাহায্য নিতে আমি তাঁর স্ত্রীর কাছে গিয়েছিলাম। আমি তাঁকে বলেছিলাম, আমাকে বাঁচান। আমি আপনার মেয়ের থেকেও ছোট। আর আমার সঙ্গে যা ঘটে চলেছে, তা বাবা-মাকেও বলতে পারব না।’

আদিত্য পাঞ্চোলি ও জরিনা ওয়াহাব এবং কঙ্গনা রনৌতপ্রতিবেদনে বলা হয়, আদিত্যর স্ত্রী সে সময় কঙ্গনাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি এমন মন্তব্য করেছিলেন যে কঙ্গনা বেশ হতাশ হয়েছিলেন। সব ঘটনা শুনে জরিনা তাঁকে বলেছিলেন, ‘এটা আমার জন্য অনেক স্বস্তির বিষয়। কারণ, এখন থেকে সে (আদিত্য) আর আমার বাসায় নির্যাতন করতে আসবে না।’

কঙ্গনা বলেন, ‘জরিনা সাহায্য না করায় আমি অসহায় হয়ে পড়েছিলাম। ভাবছিলাম, কার কাছে সাহায্য চাইব? একবার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তা জানালে বাবা-মা বিষয়টি জেনে যেতেন এবং আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতেন। তাই আমার বাঁচার কোনো উপায় ছিল না।’

পরে বাধ্য হয়ে কঙ্গনা পুলিশের কাছে আদিত্য পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সে সময় শুধু সতর্ক করে আদিত্যকে ছেড়ে দিয়েছিল পুলিশ।

শেয়ার করুন