দেশের ফুটবল প্রেমীদের কাছে আফসোসের এক নাম জাফর ইকবাল। আন্তর্জাতিক যুব ফুটবলে এই উইঙ্গারের দুর্দান্ত প্রতাপ, অনিয়মিত হলেও খেলছেন জাতীয় দলে। কিন্তু ঘরোয়া ফুটবলে মাঠে নামার সুযোগ হয় খুবই কম।
সাইফ স্পোর্টিংয়ের জার্সিতে আজও নেমেছিলেন বদলি হিসেবে । কিন্তু নিজেকে প্রমাণ করার জন্য সময় নিয়েছেন মাত্র তিন মিনিট। ৬৩ মিনিটে নেমে ৬৬ মিনিটেই গোল। শেষ পর্যন্ত নিজেদের প্রথম ম্যাচে বিজেএমসির বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয়ে নিয়ে মাঠ ছেড়েছে সাইফ। জয়ী দলের অন্য দুটি গোল করেছেন কোরিয়ান ফরোয়ার্ড সেউংগিল পার্ক ও ডেনিস বলশাকোভ। দুটি গোলই স্পটকিক থেকে।
পেনাল্টি থেকে পার্কের করা গোলে ম্যাচের চার মিনিটেই এগিয়ে যায় সাইফ। সেউংগিল পার্ককে বিজেএমসির উজবেকিস্তানের সেন্টারব্যাক ফুরকাত জন ফাউল করলে পেনাল্টি পায় সাইফ। সেখান থেকে নিজেই গোল করেন পার্ক।
কিন্তু লিডটা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি দলটি। আট মিনিট পরেই আবদুল্লাহ মামুনের গোলে সমতায় ফিরে বিজেএমসি। উজবেকিস্তানের ফরোয়ার্ড ওটাবেকের নেওয়া ফ্রি কিক থেকে মাথা ছুঁয়ে দিতেই বল জালে জড়িয়ে যায়, ১-১। সমতায় ফিরে বেশ গোছানো ফুটবল খেলতে শুরু করে কোচ ছাড়া মাঠে নামা বিজেএমসি। ফরোয়ার্ড ওটাবেকের সঙ্গে মিডফিল্ডার মামুনের বোঝাপড়া ছিল চমৎকার।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে বিজেএমসিকে আর খুঁজেই পাওয়া গেল না। একদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত দলটির ডাগ আউটে কোনো কোচ নেই। অন্যদিকে সাইফের ডাগ আউটে উয়েফা প্রো লাইসেন্সধারী কোচ স্টুয়ার্ট হল। কোন সময়ে কোন অস্ত্র ব্যবহার করতে হবে, ৫৯ বছর বয়সী ঝানু ইংলিশ কোচের চেয়ে ভালো আর কজন জানেন!
উইঙ্গার জাবেদ খানকে তুলে মাঠে পাঠালেন জাফরকে। তিন মিনিটের মধ্যেই ১-১ স্কোর লাইনটা ২-১ করে দিলেন জাফর। বাম প্রান্ত থেকে ইয়াসিন আরাফাতের ক্রসটা জোনাথন কর্দোভা বা ডেনিস বলশাকোভকেও খুঁজে নিতে পারত। কিন্তু ক্রসটা পরল জাফরের পায়ে। নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জালে জড়ালেন দেখে শুনে। এমন গোল করেও আফসোস হতে পারে, জাতীয় দলের কোচ জেমি ডের যে দেখা হলো না গোলটা। শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে ৩-১ করতেন রাশিয়ান স্ট্রাইকার ডেনিস।
সৌজন্যে ঃ দৈনিক প্রথম আলো অনলাইন।