অক্সফোর্ড থেকে মুছে দেয়া হচ্ছে সুচির নাম

অংসান সুচি

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা ‘জনগোষ্ঠির ওপর সেনা বাহিনীর বর্বর অত্যাচার, হত্যা ও ধর্ষণের মতো ঘটনায় বিতর্কিত ভূমিকা রাখায় দেশটির নেত্রী অং সান সু চি বিশ্বব্যাপী সমালোচিত হচ্ছেন।

এ অবস্থায় নিজ বিদ্যাপিঠ অক্সফোর্ড কলেজের জুনিয়র কমন রুম থেকে মিয়ানমারের নেত্রীর নাম মুছে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সেন্ট হিউ’স কলেজের শিক্ষার্থীরা কমন রুম থেকে সু চির নাম মুছে ফেলার পক্ষে ভোট দিয়েছেন।

এ কলেজে সু চি ১৯৬৪-৬৭ সাল পর্যন্ত রাজনীতি, দর্শন ও অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনা করেন।

এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে সেন্ট হিউ’র পরিচালনা পর্ষদ কলেজের মূল ফটক থেকে সু চির প্রতিকৃতি নামিয়ে ফেলা হয়। আর অক্টোবর মাসের শুরুতে অক্সফোর্ড সিটি কাউন্সিল সুচির ‘ফ্রিডম অব দ্য সিটি অব অক্সফোর্ড’ পদক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়।

এদিকে জুনিয়র কমন রুম থেকে সুচির নাম মুছে ফেলার পাশাপাশি সেন্ট হিউ’র সিদ্ধান্তে আরও উল্লেখ করা হয়, রাখাইনে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় সু চির সমালোচনা করতে না পারা অগ্রহণযোগ্য। এক সময় তিনি যে নীতি ও আদর্শের প্রতি অবস্থান নিয়েছিলেন এখন সু চি সেগুলোর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।

২০১২ সালে সু চি অক্সফোর্ড থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছিলেন। তবে এই ডিগ্রি প্রত্যাহার করা হবে কি না সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

শেয়ার করুন